প্রথম টেস্টে তার সাহসী সিদ্ধান্ত ব্যাটারদের কারণে ভুল প্রমাণ না হলে অন্যরকম হতে পারতো ফলাফল। সিরিজ শেষে বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে মিরাজ বললেন সন্তুষ্টির কথা, ‘আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে, প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় একটা অর্জন। যেহেতু আমি প্রথম অধিনায়কত্ব করছি, এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।’
জয়ের কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে, ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। এর জন্যই আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’
দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ খানিকটা আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক জানালেন এমন প্রতিআক্রমণের ক্রিকেট খেলার কারণটাও, ‘আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি যে এই উইকেটে যদি আমরা ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল যে খেলোয়াড়েরা ইতিবাচক খেলবে।’
জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও ইতিবাচক মানসিকতার ব্যাপারে কথা বলেছেন মিরাজ, ‘(প্রথম ইনিংসে) ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পরও আমরা নেতিবাচক চিন্তা করিনি। খেলোয়াড়েরা খুব ভালো বোলিং করেছে। প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানা, তাসকিন ও হাসান মাহমুদ যেমন, দ্বিতীয় ইনিংসের বিশেষজ্ঞ তাইজুল পেয়েছে ৫ উইকেট। সে দুর্দান্ত…আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কীভাবে উন্নতি করব, আমরা সেটা ভাবি। কখনো কখনো আমরা ভুল করব, তবে সেখান থেকে শিখবও।’
নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত রয়েছেন ইনজুরিতে। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ. আর দায়িত্ব নিয়েই যেন করলেন বাজিমাত। সিরিজের শেষ টেস্ট জিতে সমতার মাধ্যমে মীমাংসা হলো ট্রফির। ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপে টেস্ট ম্যাচে জয় পেল বাংলাদেশ।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]