আরজি কর ধর্ষণকাণ্ডের জেরে গত কয়েক মাস ধরে বেশ চাপের মুখে ছিল শাসকদল তৃণমূল। সেই আবহের মধ্যেই গত ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এই আসনগুলোর মধ্যে ৫টিতে তৃণমূলই জয়ী হয়েছিল। একটি আসন ছিল বিজেপির ঝুলিতে।
১০ দিন পর শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে শুরু হয় ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য মতে, কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটি, বাঁকুড়ার তালডাংরা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সবগুলো আসনই জিতেছে তৃণমূল।
সিতাই থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। তিনি পেয়েছেন মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৮৪ ভোট। বিজেপির দীপককুমার রায় পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৪৮ ভোট। ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৩৬ ভোটে জয়ী হলেন সঙ্গীতা।
আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে ২৮ হাজার ১৬৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের জয়প্রকাশ টোপ্পো। ৭৯ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাহুল লোহার পেয়েছেন ৫১ হাজার ১৮ ভোট। আসনটিতে প্রথমবার জয়ের স্বাদ পেল তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি থেকে ৪৯ হাজার ২৭৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের সনৎ দে। তিনি পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৭৭২ ভোট। বিজেপির রূপক মিত্র পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৯৫ ভোট।
উত্তর ২৪ পরগনার আরেক আসন হাড়োয়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের রবিউল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২টি ভোট। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট তথা আইএসএফের পিয়ারুল পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮৪ ভোট।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুরে ৩৩ হাজার ১৯০ ভোটে জয়ী হয়েছেন শাসক দলের প্রার্থী সুজয় হাজরা। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ১৪৬ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৮০ হাজার ৯৫৬ ভোট।
বাঁকুড়ার তালডাংরায় ৩৪ হাজার ৮২ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু। তিনি পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৯২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮৪৪ ভোটি ৷
উপনির্বাচনে দলের বিরাট জয়ের পর রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় তিনি বলেছেন, আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই বিনম্র চিত্তে অভিবাদন।