এবার কিছু শিল্পীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, শিল্পী দাবি করা একজন মানুষ কি করে আরেকজন মানুষের হত্যাযজ্ঞ লাইভ দেখার ইচ্ছা পোষণ করে।
সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে সামাজিকমাধ্যমে কুৎসা ঘটনা প্রচার, উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়ানো হচ্ছে দেদারসে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে কর্তৃত্ববাদী শাসকের শোচনীয় পতন হয়েছে, এটা মানুষকে ভুলিয়ে দিতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে ফারুকী লিখেন, ‘শিল্পী সাহিত্যিকদের মধ্যে যারা এখনও খুনি হাসিনার পক্ষে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় জুলাই গণঅভ্যত্থানের পক্ষশক্তিকে হত্যার উস্কানি দিচ্ছেন তাদেরকে নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নাই। আমি জানিনা শিল্পী দাবি করা একজন মানুষ কি করে আরেকজন মানুষের হত্যাযজ্ঞ লাইভ দেখার ইচ্ছা পোষণ করে!!!’
ক্ষমতার লোভ ও একগুঁয়ে স্বভাবের কারণে হিংস্রতার শীর্ষে ছিলেন জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার। বিরোধী নিধনে মরিয়া হয়ে ওঠা হিটলার তার অনুগত নাৎসি বাহিনী দিয়ে একে একে সব বিরোধীকে নিশ্চিহ্ন করা শুরু করেন। দীর্ঘমেয়াদি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছিলেন হিটলার। হিটলারের প্রসঙ্গ টেনে ফারুকী আরো লিখেন, ‘শেইম! হিটলারের কালে জন্ম হইলে আপনারা হইতেন নাজি।’
গত ১০ নভেম্বর নতুন উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেওয়া হয়। শপথ নেওয়ার পর ফারুকী বলেছিলেন, ‘আমি কখনোই কোনো পদ কিংবা কোনো চেয়ারে বসব, এটা ভাবি নাই। কিন্তু প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা টেম্পটিং (লোভনীয়), না বলাটা মুশকিল।’
অবশ্য ফারুকীর নিয়োগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্বসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্ষোভ প্রকাশও দেখা গেছে। তাদের অভিযোগ, ‘ফারুকী ফ্যাসিস্টদের দোসর’ ছিলেন। এ নিয়ে কিছু পুরোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে দায়িত্বগ্রহণের পরপরই বিতর্কের মুখে পড়েন এই নির্মাতা।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]