হ্যাকারদের সামান্য বানান ভুলের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় একশ কোটি ডলার চুরির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তারপরও হ্যাকাররা ৮১ কোটি ডলার এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তারা এই ভুলটি না করলে হয়তো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সবার অগোচরে আরো বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরি যেতো।
১০ মার্চ আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একশ কোটি ডলার (৮০০ কোটি টাকা) চুরি গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, হ্যাকারদের চক্রান্ত ঠিকঠাকই ছিল, কিন্তু বানান ভুলের কারণে ব্যালেন্স ট্রান্সফার আটকে যায়।
তবে পুরো কাজ হাসিল করতে না পারলেও হ্যাকাররা ঠিকই পালিয়ে যায় কোনো সূত্র না রেখে। তারা যে একেবারে খালি হাতে গেছে তা না। সাথে করে নিয়ে গেছে ৮১ কোটি টাকা। এই ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসের সাইবার ব্যাংক ডাকাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর একটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে টাকা আদান প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করে। এরপর তারা ভিন্ন অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তরের জন্য নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংককে প্রায় ৩০টি অনুরোধ পাঠায়। এর মধ্যে চারটি অনুরোধে ৮১ কোটি ডলার ফিলিপাইনে এবং ২০ কোটি ডলার শ্রীলংকার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অনুরোধ পাঠানো হয়।
পঞ্চম অনুরোধটি শ্রীলংকার একটি অলাভজনক এনজিও শালিকা ফাউন্ডেশনের (Shalika Foundation) অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে বলা হয়। কিন্তু তারা ভুল করে Foundation এর স্থলে লেখে ‘fandation’। ফলে অর্থ স্থানান্তরে যাচাইকারী Deutsche Bank এর ক্ল্যারিফিকেশনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানায়। তখনেই ব্যাপারটা ধরা পড়ে, সাথে সাথে স্থানান্তরটি বন্ধ করা হয়।
রয়টার্স খোঁজ নিয়ে জেনেছে, শ্রীলংকায় Shalika Foundation নামে কোনো নিবন্ধিত এনজিও নেই। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো ঠিকানা বা ফোন/ইমেইলও পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]