দীর্ঘদিন ধরেই অত্যন্ত কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত ইসরায়েলের আয়রন ডোম। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসলে এ ধরনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নির্মাণ করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার জন্য।
অবশেষে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরু হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
‘গোল্ডেন ডোম’ নির্মাণের প্রক্রিয়া।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তেও তাকে সহায়তার জন্য প্রস্তুত, বন্ধু ও ধনকুবের ইলন মাস্ক। স্পেসএক্সের পাশাপাশি মার্কিন টেক জায়ান্ট প্যালানশিয়ার ও ড্রোন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অ্যান্ডুরিলও রয়েছে এই প্রকল্পে। এরইমধ্যে এ প্রকল্প নিয়ে তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং পেন্টাগন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসেছেন ট্রাম্প।
প্রাথমিক পরিকল্পনায় মহাকাশে বেশ কিছুসংখ্যক স্যাটেলাইট পাঠানো হবে। যা সুক্ষ্মভাবে শত্রুদের ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে পর্যবেক্ষণ করবে হামলা এবং ঝুঁকির গতিবিধি।
গোল্ডেন ডোম ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থা একটি খুবই সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহু্ল প্রকল্প। একইসঙ্গে অনেকগুলো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড শক্তিশালী করে তৈরি করতে হবে ডোমটিকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের ছোড়া মিসাইল শনাক্ত ও প্রতিহত করতে দরকার পরতে পারে ১০ হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট।
এরইমাঝে ১৮০টিরও বেশি প্রযুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পে কাজ করতে। যার মাঝে রয়েছে ডিফেন্স স্টার্টআপ এপিরাস, উরসা মেজর ও আর্মাডার মতো প্রতিষ্ঠান। ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে নর্থরপ গ্রুম্ম্যান, বোয়িং ও আরটিএক্সের মতো বড় বড় সংস্থা।
শুধুমাত্র প্রাথমিক নকশা ও যন্ত্রাংশ তৈরিতেই খরচ হতে পারে ৬ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার অর্থ। জটিল এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সময় লাগতে পারে কমপক্ষে ৫ বছর।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]