উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের রূপকথার গল্প লিখেছে পিএসজি। গার্দিওলা শিষ্যদের ৪-২ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর আশা দারুণভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে প্যারিসের ক্লাবটি। অন্যদিকে, সালজবুর্গকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর ঘরের মাঠে দিনামো জাগরেবকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের পয়েন্ট টেবিলের তিনে জায়গা করে নিয়েছে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল। অপরদিকে, ডাচ ক্লাব ফেইনুর্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
প্যারিসে বৃষ্টি ভেজা রাতে ম্যানসিটি-পিএসজি মহারণের প্রথমার্ধ ছিল খুবই ম্যারমেরে। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে জোরালো শটে সিটির জালে বল পাঠিয়ে হাকিমি উল্লাসে মাতলেও সেই আনন্দে পানি ঢেলে দেয় অফসাইড। গোলশূন্য নিয়েই বিরতিতে যায় দু’দল। ম্যাচের রোমাঞ্চ শুরু হয় মূলত দ্বিতীয়ার্ধেই।
গোল বন্যার শুরুটা হয় ম্যাচের ৫০ মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশের হাত ধরে। সিলভার শট পিএসজি গোলকিপার দোনারুমা ফিরিয়ে দিলেও হার মানেন গ্রিলিশের জোড়ালো শটের কাছে। ৫৩তম মিনিটে সিটির লিড দ্বিগুণ করেন আর্লিং হাল্যান্ড। এরপরই শুরু পিএসজি-শো। জবাব দিতেও খুব একটা সময় নেয়নি প্যারিসের ক্লাবটি।
৫৬ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে দুই গোল শোধ করে দেয় তারা। গোল করেন ওসমান দেম্বলে ও বারকোলা। ৭৮ মিনিটে পিএসজি সমর্থকদের আরেকবার উল্লাসে ভাসান নেভেস। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সিটির জালে গনসালো রামোস শেষ পেরেক ঠুকলে উল্লাসে ফেটে পড়ে পিএসজি সমর্থকরা।
রিয়ালের সরাসরি শেষ ষোলোয় যাওয়ার আশা আগেই ফিকে হয়ে গেছে অনেকটা। সেই আশা বাঁচিয়ে রাখতে সালজবুর্গের বিপক্ষে জিততে হতো বড় ব্যবধানে। নানা সমীকরণের ম্যাচের শুরুটা হয় অপ্রত্যাশিত। রেকর্ড ও টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকে সালগবুর্গ।
তবে নিজেদের একটু গুছিয়ে নিয়ে রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এর চার মিনিট পরই ভিনির লক্ষ্যভ্রস্ট শট। ৩৪ মিনিটে আবারও স্কোরশিটে নাম লেখান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সালগবুর্গ গোলরক্ষক ভুল করলেও ভুল করেননি এমবাপ্পে। ম্যাচের শেষ দুটি গোল করে সালগবুর্গকে হতাশায় ডোবান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ম্যাচ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার পর সান্তনাসূচক এক গোল শোধ করে সালজবুর্গ। শেষ পর্যন্ত ৫-১ গোলের বড় জয় পায় কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিকে, দিনামো জাগরেবের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে আর্সেনাল। দলটির বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের দেখা পান রাইস। এরপর আর্তেতার দল প্রবলভাবে চেপে ধরে দিনামোকে। অব্যাহত আক্রমণ প্রতিহত হয়েছে রক্ষণে আর নয়ত গোলরক্ষকের কাছে। এলোমেলো ফুটবলের পর ৬৬ মিনিটে গানারদের হয়ে ডেডলক ভাঙ্গেন কাইল হাভার্টজ। বাড়তি সময়ের প্রথম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন ওডেগার।
অন্যদিকে, ডাচ ফুটবল ক্লাব ফেইনুর্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের বড় ব্যবধানে হেরেছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। ম্যাচে ৬৭ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ এবং ৩২টি শট নিয়ে গোল করতে পারেনি বায়ার্ন। এর মধ্যে অন টার্গেট শট ছিল ৭টি। তবে মাত্র ৩৩ শতাংশ বলের দখল ও ৮টি শট নিয়েই তিন গোল আদায় করে ডাচ ক্লাবটি। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, তারা অন টার্গেটে মাত্র তিনটি শট নিয়েই শতভাগ সফল হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]