রাজধানীর হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি হাজারীবাগ ২২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
গত ১৫ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ জামে মসজিদের সামনে আক্রমণের শিকার হন। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
জিয়ার বড় ভাই মো. সায়েম জানান, হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনে তাদের স্থায়ী বাড়ি। অবিবাহিত ছিলেন জিয়া। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জিয়া ছিলেন মেজো।
গত ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে হাজারীবাগ পাম্পের পাশে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে একটি সালিশ বসে। সেখানে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমনের নির্দেশে কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে কয়েকজন যুবক। এর মধ্যে জিয়ার ভাগনের এক বন্ধুর কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়। পরদিন যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তারা এলাকায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে। জিয়া ওই যুবকদের ফুসলিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে ওই দিন সন্ধ্যায় সুমনের নির্দেশে বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ অনেক যুবক জিয়াকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুল আলম জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে এনায়েতগঞ্জ এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিয়াকে আঘাত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মৃতের বোন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।