স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো সাময়িকভাবে বিজয়ী হতে পারে। কিন্তু তাদের বক্তব্যের যে কোনো সারবত্তা নেই, তারা দ্রুতই এটা বুঝতে পারবে। সামাজিক মাধ্যমে টাকা ঢেলে বক্তব্য ছড়িয়ে বা নিউইয়র্কের গণপরিবহনব্যবস্থা ও ভ্যানে ব্যানার টাঙিয়ে তাদের কোনো কাজে আসবে না।
কথাগুলো বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ কথা বলেছেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কৌশল ছিল সব বিদেশি সাংবাদিক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো। তারা বাংলাদেশকে নিজেদের মতো করে আবিষ্কার করুক, কারণ আমরা আমাদের সমাজ, আমাদের জনগণ, আমাদের দেশ সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী।’
শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘আমরা জানি, বিপ্লব (জুলাই গণ-অভ্যুত্থান) নিয়ে বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতা চালানোর বিষয়ে মিথ্যা বয়ান তৈরির ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর ভাষ্যগুলো একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। আমরা এটা অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং সেগুলো নিয়ে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি ও মানুষ হিসেবে তাদের সম্মান করতে হবে। ক্ষণিকের মধ্যে সেই অনুপ্রাণিত গোষ্ঠীগুলো জয়ী হতে পারে। তবে শিগগিরই তারা বুঝতে পারবে যে তাদের আখ্যানের কোনো ভিত্তি নেই। নিউ ইয়র্কের গণপরিবহন ও ভ্যান নিয়ে যতই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুস্টিং করা বা ব্যানার থাকুক না কেন, তা তাদের কোনো কাজে লাগবে না।
ধর্ম নির্বিশেষে যেখানেই থাকুক না কেন সংখ্যালঘুদের রক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া মুশফিকুল ফজল আনসারী।
ট্রাম্পের এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার জন্য ফ্যাক্ট চেকিং অপরিহার্য।’
আনসারী সুইডেনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নেত্র নিউজের একটি ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ প্রতিবেদনও শেয়ার করেছেন, যা বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রচারিত বিষয়ে আলোকপাত করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।