ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) বলছে, গত ১ অক্টোবর ইরানের ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে শনিবার রাতে প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেল আবিব। ইরানের অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২’। আর ইসরাইল তাদের অভিযানের নাম দিয়েছে, ডে’স অব রিপেন্টেনস অর্থ্যাৎ ইরানের জন্য ‘অনুতাপের দিন’।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, ইসরাইল থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে হামলায় যুদ্ধ বিমান, জ্বালানি পরিবহণ এবং গোয়েন্দা বিমানসহ কয়েক ডজন বিমান অংশ নেয়। জটিল এই অভিযানের পর সব বিমান নিরাপদে ইসরাইলে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। এতে আরো বলা হয়েছে, ইরানের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এসব হামলা বিমান প্রতিরক্ষা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সামরিক কেন্দ্রগুলোর ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে ১৪ এপ্রিল ইসরাইলে হামলা করেছিল ইরান। ওই মাসেই ইরানে পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইল। এরপর ১লা অক্টোবর ইসরাইলে ফের হামলা চালায় তেহরান। এবার প্রায় ৪ সপ্তাহের মাথায় ইরানের হামলা জবাব দিল তেল আবিব।
এদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘ইসরাইলের ওপর হামলা ইরানে বিমান অভিযানের ব্যাপক স্বাধীনতা দিয়েছে। ইরানের কোথায় কোথায় আক্রমণ চালানো যাবে সেটা নিয়ে বৃহৎ পরিকল্পনা আছে। ভবিষ্যতে আক্রান্ত হলে প্রয়োজন হলে ওই সব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হবে’।
ইসরাইলের অভিযানের ইরানের ক্ষয়ক্ষতি সময়মতো প্রকাশ করা হবে বলছে আইডিএফ। একইসঙ্গে সংস্থাটি বলেছে, ইরান ইসরাইলের উপর হামলার জন্য মূল্য দিয়েছে।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, আইডিএফ এখন ইরানি আক্রমণের সম্ভাব্য সতর্কতা এবং মূল্যায়ন নিয়ে কাজ করছে। যদিও এখন পর্যন্ত, বেসামরিক নাগরিকদের জন্য কোনো বিশেষ নির্দেশনা জারি করেনি নেতানিয়াহু সরকার।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।