সকল মেনু

বছরে সাড়ে ৩ কোটি টন বর্জ্য যাচ্ছে নদীতে

বছরে ৩ কোটি ৫০ লাখ টন ময়লা-আবর্জনা এবং রাসায়নিক বর্জ্য পলি হিসেবে নদীর তলদেশে জমা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী ডা. মোহাম্মদ আবদুল মতিন।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা) ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশের নিঃসৃত বাৎসরিক ময়লা-বর্জ্যের পরিমাণ ১৭০ থেকে ২৪০ কোটি টন। যা থেকে প্রতি বছর ৩ কোটি ৫০ মিলিয়ন টন রাসায়নিক বর্জ্য নদীর তলায় পলি হিসেবে জমা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রায় সকল গ্রাম, নগর-মহানগরেই গৃহস্থালী বর্জ্য ও কারখানার বর্জ্য বা ময়লার একটা বিরাট অংশের শেষ ঠিকানা হচ্ছে নদীগুলো। অথচ মানুষের সকল প্রয়োজনে পানি সরবরাহের প্রধান উৎস এই নদী। নদীর ওপর ক্রমবর্ধমান অসংযত আচরণ ও অত্যাচারের মহোৎসবে মানুষ আপাতত বিজয়ী হলেও স্থায়ীভাবে পরাজিত হতে যাচ্ছে। দখল আর দূষণে সকল নদীই আজ বিষের আধার, শ্রীহারা ও অর্ধমৃত।’

প্রশাসনিক শক্তি প্রয়োগ করে সকল শিল্পকারখানায় বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট সংযোজন করা এবং গৃহস্থালি ও হাসপাতাল বর্জ্য নদীতে না ফেলতে বাধ্য করার পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি। সেই সঙ্গে তরল বর্জ্য পরিশোধনের উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আবদুল মতিন।

একই সঙ্গে, নদীর ওপর কাঁচা অথবা পাকা পায়খানা নির্মাণ বন্ধ; জমিতে রাসায়নিক সার-কীটনাশক ব্যবহার হ্রাস ও বন্ধ করা; নৌযান নির্গত ময়লা, বর্জ্য, তেল পানিতে ফেলা নিষিদ্ধকরণ ও নৌযানে তেলের পরিবর্তে সোলার বা গ্যাস ব্যবহার করা; আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সকল নদীর সীমানা নির্ধারণ; নির্মোহভাবে দখলদার উৎখাত ও তা দখলমুক্ত রাখা; মৃত ও ভরাট নদী ড্রেজিং করে তার প্রবাহ ও নাব্যতা পুনরুদ্ধার এবং নদীর মাটি বা পাড় ইজারা দেয়া বন্ধ করারও দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়কারী ডা. মতিন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাপার জাতীয় কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন নাজিম ও জাভেদ জাহান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top