সকল মেনু

‘তদন্তের স্বার্থে রিজার্ভ হ্যাকের খবর জানানো হয়নি’

হ্যাকিং করে রিজার্ভ থেকে ডলার তুলে নেওয়ার খবর বাংলাদেশ ব্যাংক এক মাস আগে জানলেও তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনেককে জানানো হয়নি।

বুধবার (০৯ মার্চ) বিকেলে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ফেডারেল ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে এক মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ডলার হ্যাক করা হলেও সম্প্রতি গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে রাজি হাসান বলেন, আমরা যাদের জানানোর প্রয়োজন মনে করেছি, তাদের জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যতোটুকু জেনেছি, দেশের বাইরে থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাক করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই হ্যাক করা ডলার উদ্ধার সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

‘রিজার্ভের বিষয়ে তদন্ত চলছে। যেসব অ্যাকাউন্টে রিজার্ভের অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষ সেসব অ্যাকাউন্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে জব্দ করেছে। এছাড়া কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’

ফেডারেল রিজার্ভের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান জানান, প্রত্যেক লেনদেনের কিছু নিয়ম আছে। যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের হয়ে অর্থ স্থানান্তরের আবেদন পাঠানো হয়, তখন তাদের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা যাচাই করার বিধান রয়েছে।

‘সেটা তারা করেছে কিনা সেটা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এর আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান, ডেপুটি গর্ভনর নাজনীন সুলতানা ছাড়াও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শুভঙ্কর সাহা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকড হওয়া ১০১ মিলিয়ন ডলার পুরোটাই অর্থ ফেরত আনা হবে।

‘এখন পর্যন্ত হ্যাকিংয়ের মাধ্যমেই এই অর্থ চুরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলা যাচ্ছে না,’ বলেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক আইটি বিশেষজ্ঞ রাকেশ আস্তানা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে কাজ করা আস্তানা বলেন, দেশের বাইরে থেকেই এ হ্যাকিং করা হয়েছে বলে জেনেছি।  বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কারও যোগসাজশ আছে কি-না তা এখন বলা যাচ্ছে না।  ৮শ’ কোটি টাকা হ্যাকড হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছে বিশ্বব্যাংক।

‘ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ হ্যাকড হওয়ার ভেতরের কিংবা বাইরের কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top