বরগুনা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঢাকাস্থ বরগুনা জেলাবাসী আয়োজিত রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় সাহাবউদ্দির মোর (১২জানুয়ারি) মতবিনিময় সভা করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা। উক্ত সভা সঞ্চালনা করতে দেখা যায় আওয়ামীলীগ পরিবারের এক কর্মীকে। সভার মঞ্চে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।
বিএনপির স্থানীয় নেতারা জানান, ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জনাব আঃ হক হাওলাদার সদস্য সচিব, বিএনপি, বরগুনা সদর উপজেলা শাখা, মইনুল হাসান লিটনসহ কয়েকজন পদধারী। অথচ মঞ্চে তারা বাদে প্রায় অনেকেই ছিলেন আওয়ামী লীগের সাথে থাকা তাদের কর্মী।
আবার মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতেও অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত এমন ব্যক্তিদের দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারাও ভোল পাল্টে বিএনপি নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অপকর্ম করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনা করা বাদশা মিয়া আওয়ামীলীগ পরিবারের লোক। তার আপন বড় ভাই হানিফ ছিলেন বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি একটানা ৪৮ বছর। তার নাতি ইমরান হোসেন স্বপন ৪ নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি নিজেও সাবেক ৫ বারের এমপি ও বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ঘনিষ্ঠজন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করেন শম্ভু তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথম সারিতে দেখা যায় তাকে।
এ বিষয়ে বাদশা হাওলাদার বলেন,আমি আওয়ামীলীগ পরিবারের লোক কিন্তু আমি স্বেচ্ছাসেবকদল করি। আওয়ামীলিগ নেতাদের সাথে ছবির কথা জানতে চাইলে বলেন, আমাদের বিএনপির অনেক নেতার সাথেই আওয়ামীলীগ নেতাদের ছবি আছে তাতে কি হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।