সকল মেনু

অধিনায়ক আকবরের বীরত্বগাথা

ক্রিকেট মাঠে অধিনায়কের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বদলে যেতে পারে ম্যাচের মোমেন্টাম। যা পিছিয়ে থাকা দলকেও প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখে। হয়তো সেসব বিষয় খুব বেশি সামনে আসে না। দিনশেষে দলীয় সাফল্যই যে সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সেভাবে আলোচনায় না থাকলেও নেতৃত্বগুণে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার শিরোনামে এসেছেন আকবর আলি। গত ৪ বছরে ২ দলের হয়ে তিনি তিনটি শিরোপা জিতেছেন।

শুরুটা হয়েছিল বৈশ্বিক আসর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে। ২০২০ সালে বাংলাদেশকে বয়সভিত্তিক মেগা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সাফল্য এনে দেন আকবর। ৫০ ওভারের ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতীয় যুবাদের মাত্র ১৭৭ রানে আটকে ফেলে টাইগাররা। লক্ষ্য তাড়ায় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন আকবর। তৎকালীন এই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক দলের বিপর্যয়ে ৪৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে প্রথম বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত করেন।

বিশ্বকাপজয়ী সেই দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। টাইগারদের শক্তিমত্তায় আছে তাদের বড় অবদান। যদিও আকবরের এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরুর সুযোগ মেলেনি। তবে বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন। বাংলাদেশকে বৈশ্বিক আসরে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দেওয়া আকবর বর্তমানে সপ্রতিভ ভূমিকা রাখছেন ঘরোয়া প্রতিযোগিতায়। ২০২২ সালে তার হাত ধরেই লাল বলের ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) ৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায় রংপুর বিভাগ।

সর্বশেষ এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও একই দলটি শিরোপা জিতেছে। এবারও নেতৃত্বে আকবর আলি। যেন নিজের মধ্যে অধিনায়কত্বের বড় গুণ ধারণ করে চলেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। প্রথমবার আয়োজিত এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে তারা গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে। এর আগে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে দেয় আকবরের দল। অর্থাৎ, প্রতি দুই বছর অন্তর একটি করে শিরোপা উঠেছে ২৩ বছর বয়সী ক্রিকেটারের হাতে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top