সকল মেনু

ধর্ষণ মামলার নিহত মন্টু ও ধর্ষিতার পরিবারের পাশে জামাতের আমির

রাকিবুল ইসলাম রাজন, বরগুনা প্রতিনিধি:

“একটি শিশুর সঙ্গে পশুরা যে আচরণ করেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। মেয়েটার জীবনের সর্বনাশ করেছে। এর প্রতিকার চেয়ে বাবা মামলা করেছেন, মামলা কেন করল সেই ঝাল মেটানোর জন্য বাবাকেও মেরে ফেলেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই, এর ঘৃণা করি। বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম অসহায় এই পরিবারটির পাশে প্রতিমাসে সাথে আছে। এছাড়াও দেড় মাসের শিশু সন্তানটি বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই পরিবারের সাথে আছি”। আজ সোমবার বরগুনায় নির্যাতিত শিশু এবং নিহত মন্ত্র দাসের বাড়ি পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর আমির ডাঃ শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।

আজ ১৭ মার্চ(সোমবার)সকাল ১০ টায় তিনি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে পৌঁছান। এরপরই তিনি সরাসরি বরগুনা শহরের কালীবাড়ি এলাকায় মন্টু দাসের বাড়িতে চলে যান। সেখানে মন্টু দাসের স্ত্রী শিখারানীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তার পরিবারের পাশে থাকার সর্বোচ্চ আশ্বাস প্রদান করে।

বরগুনার এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৫ মার্চ বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা মন্টু চন্দ্র দাস। ওই দিনই প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এরপর ১২ মার্চ মামলার শুনানির দিন ছিল। ওইদিন মধ্যরাতে বাড়ির পেছন থেকে বাদী মন্টুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে মন্টু দাসকে হত্যা করা হয়েছে।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দুর্দশায় দিন কাটছে পরিবারটির।

তিনি এই ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে জানান, ‘মন্টুর পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আমরা সাধ্যমতো পরিবারটির পাশে আছি এবং প্রতি মাসে আর্থিক সহায়তা প্রদান করব।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, আল্লাহ্ আল কোরআনে বলেছেন যারা ধর্ষণ করে তারা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। আমরা সামজিক ভাবে মজলুমের পাশে দাঁড়ালে, জুলুমকারী ভয় পাবে। মানবতা যেখানে বিপর্যয় হবে সেখানে আমরা ছুটে আসবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top