৬ দিন চিকিৎসা গ্রহণের পর বাড়ি ফিরলেন বলিউড নবাব সাইফ আলী খান। তবে তার ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে নয়। সেখান থেকে কিছুটা দূরে অন্য এক বাড়িতে উঠেছেন এ অভিনেতা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সেখানে যান সাইফ।
এদিন বেলা ১১টার কিছু পরেই হাসপাতালে পৌঁছে যান শর্মিলা ঠাকুর। তারপর আসেন কারিনা কাপুর খান। দুপুর ২টার পর সাইফকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের বাইরে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে, আপাতত তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। আগামী এক সপ্তাহ কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। কারণ তার জখম এখনও পুরোপুরি শুকায়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বান্দ্রায় সাইফের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায় আততায়ী। এ সময় সাইফ আলি খান তাকে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন। রাত আড়াইটার দিকে জখম সাইফকে অটোতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ছেলেরা। এরপর হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয় নায়ককে।
অস্ত্রোপচারে তার মেরুদণ্ড থেকে ছুরির ৩ ইঞ্চি লম্বা একটি টুকরো বের করা হয় এবং স্পাইনাল ফ্লুইড লিক বন্ধ করা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় পাওয়া ওই ধারালো বস্তুটির ছবিও প্রকাশ করে হাসপাতাল।
এদিকে হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তের নাম শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। চুরির উদ্দেশে বলিউডের ‘নবাব’-এর বাড়িতে ঢোকে ওই দুর্বৃত্ত। সে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে সাইফ আলি খানের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে একাধিকবার বলিউড তারকাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাইফকে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।