সকল মেনু

ফর্মে ফিরতে লিটনকে সময় দিতে চান ঢাকার অধিনায়ক

২, ০, ৩১, ১৪, ৩, ০— লিটন কুমার দাসের শেষ ছয় টি-টোয়েন্টি ইনিংস। সর্বশেষ তিনটি জাতীয় দলের জার্সিতে। শুরুর তিনটি বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে। গত বছরের শেষটায় যেমন বিবর্ণ ছিলেন লিটন, নতুন বছরে শুরুটা করেছেন সেখান থেকেই। তার ব্যাট থেকে রান মিলছে না কিছু্তইে।

লিটনের এই রান-বন্ধ্যাত্বে ভুগছে দলও। সাদা বলে শেষ তিন ওয়াডেতেও রান নেই—০, ৪ ও ২। অফফর্মের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল ‘বিশ্রামের’ অজুহাতে। আবার ফিরিয়ে আনা হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না।

বিপিএল ড্রাফটের আগে নবাগত দল ঢাকা ক্যাপিটালস লিটনকে দলে ভেড়ায়। প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। কিন্তু, ঢাকা পর্বে দলের দাবি মেটাতে পারেননি এই ডানহাতি ওপেনার।

তবে, লিটনের অফফর্ম নিয়ে চিন্তিত নন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে আরো সময় দিতে চান তিনি।

থিসারা পেরেরা বলেছেন, “লিটন খুব ভালো খেলোয়াড়। প্রত্যেক খেলেয়াড়েরই ব্যর্থতা আসে। আমারও খারাপ সময় গেছে। আমি নিশ্চিত, আপনার জীবনেও ব্যর্থতা আছে। এটাই জীবন।”

“তাকে সময় দিতে হবে। এখন পরিস্থিতিটা এমনই। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে তাকে আরো শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে। আমি অনুভব করছি, লিটন ছন্দে নেই। কিন্তু, নিশ্চিতভাবেই সে আমাদের মূল খেলোয়াড়দের একজন। নিশ্চিতভাবেই সে ঘুরে দাঁড়াবে।”

লিটন যে উইকেটে গতকাল ২ রানে আউট হয়েছেন সেখানে পেরেরা করেছেন সেঞ্চুরি। পরিচিত মাঠ, কন্ডিশনে লিটন যখন খাবি খেলেন, তখন পেরেরা উইকেটের চারপাশে শট খেললেন অনায়াসে। দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ের সঙ্গে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি পান পেরেরা।

নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে ঢাকার অধিনায়ক বলেছেন, “উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। বল থেমে থেমে আসছিল। এজন্য আমিও সময় নিয়েছিলাম। প্রথম ১৭-১৮ বলে ৬ কিংবা ৭ রান করেছি। এরকম উইকেটে ৩০ বল খেলতে পারলে আমি আপনার করণীয় বুঝতে পারবেন। সেভাবেই আমি নিজের রান সাজিয়ে নিয়েছিলাম।”

ঢাকায় প্রথম পর্বের আট ম্যাচ শেষে বিপিএল এখন সিলেটের গন্তব্যে। ঢাকা পর্বে ঢাকা ক্যাপিটাল বাদে সবগুলো দলই একটি করে জয় পেয়েছে। সেখানে ঢাকা ম্যাচ হেরেছে তিনটি। শেষ ম্যাচে খুলনার কাছে হেরে যাওয়ায় হতাশ পেরেরা।

তিনি বলেছেন, “আমরা নিজেদের ব্যাটিং পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি। যদি পারতাম, আমরা ছন্দ পেতাম। আমি সেঞ্চুরি করেছি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্ব খুঁজতে পারি। কিন্তু, আমরা ম্যাচ জিতিনি, সেটা উদ্বেগের।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top