সকল মেনু

ভৈরবে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে নাগরিক সমাজ ঐক্য পরিষদের সাংবাদিক সম্মেলন

ভৈরব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসাবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের প্রি-পেইট মিটার লাগানোর সিদ্ধান্ত বন্ধের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভৈরব নাগরিক সমাজ ঐক্য পরিষদ। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে

ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভৈরব নাগরিক সমাজ ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও পৌর ৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মো. আক্তারুজ্জামান আক্তার। এছাড়া বক্তব্য দেন নাগরিক সমাজ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সহ-সভাপতি আর এ মারুকী শাহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রেসক্লাব সদস্য সচিব মো. সোহেলুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ভৈরব উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা শ্রমিক দল সভাপতি আদিলুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও এশিয়ান টিভি ভৈরব প্রতিনিধি সংবাদিক সজীব আহমেদ প্রমুখ।

এ ছাড়াও বক্তব্য দেন, পৌর ১০ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মাহিন সিদ্দিক, ফুটওয়্যার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, মশার কয়েল মালিক শিল্প সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, প্রি-পেইড মিটারটি একটি এনালগ পদ্ধতি, স্মার্ট পদ্ধতি নয়। এটির কার্ড ক্রয় করা ও মিটারে ডাউনলোড করা গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এছাড়া পূর্বের সচল মিটারগুলো অচল হয়ে পড়বে। তাতে করে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যার ফলে বর্তমান অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।

বক্তারা আরো বলেন, ভৈরবে ছোট বড় অনেক শিল্প কারখানা রয়েছে তার পাশাপাশি শত শত অটো গ্যারেজ ও মিল ফ্যাক্টরী রয়েছে। যদি প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রি পেইড মিটার লাগানো হয় তাহলে এই মিটারে অগ্রিম টাকা ডুকাতে হবে। এতে করে অনেক কারখানায় রাতে কাজের সময় হুট করে মিটারের টাকা শেষ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ব্যবসায়ীদের মালামাল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদিকে ক্ষতির কারণে মিল কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাবে । তাই বিদ্যুৎ বিভাগ যদি জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করে প্রি-পেইড লাগাতে আসে তাহলে সকল বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ভৈরব নাগরিক সমাজ ঐক্য পরিষদ তাহা প্রতিহত করবে।

দুদিন আগে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগকে। আমরা এখনই কোন রকম অরাজকতা চাই না। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কোন সুফল না পেলে কঠোর আন্দোলনে যাবো।
তাছাড়া প্রিপেইড কার্ডের জন্য আলাদা মিটার প্রয়োজন, বর্তমানে মিটার লাইনের কাজ বন্ধ আছে ফলশ্রুতিতে বাহির থেকে মিটার ক্রয় করা ব্যয় বহুল। আমাদের ধারণা বর্তমান অন্তরবর্তি সরকারের বিরুদ্ধে খুনি লুটেরা পতিত হাসিনার দোসররা ষড়যন্ত্র করছে।

তাই সমস্ত ভৈরবে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রিপেইড মিটার বসানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top