ফাইনালের শুরুটা হলো বাউন্ডারিতে। তবে এরপর যা হয়েছে, সেখানে ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা নেই বললেই চলে। ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে যা করার সেটা করেছেন রংপুরের দুই পেসার মুকিদুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন বাবু। দুজন মিলে ১৬ রানেই তুলে নিয়েছেন ঢাকার প্রথম ৫ উইকেট, যা এই টুর্নামেন্টে সর্বনিম্ন রানে ৫ উইকেট হারানোর রেকর্ড। শুধু কি তা–ই!
সিলেটে রংপুরের বিপক্ষে ঢাকা অলআউট হয়েছে ৬২ রানে, এটিও টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। বাংলাদেশে কোনো স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালের এই প্রথম কোনো দল ১০০ রানের নিচে অলআউট হলো। ২০১৬ সালের বিপিএল ফাইনালে রাজশাহী কিংস ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল।
এনসিএলে সর্বশেষ বেশ কয়েকটি ম্যাচেও খুব বেশি রান ওঠেনি। রান উঠেছে ১২০–এর আশপাশে। তবে মহানগর ফাইনালের মঞ্চে তুলতে পেরেছে এর অর্ধেক রান। ম্যাচের প্রথম বলটি বাদ দিলে শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিল দলটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেও ৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা।
নিজের করা প্রথম ২ ওভারেই ৩ উইকেট তোলেন মুকিদুল আউট করেন ইমরানুজ্জামান, আনিসুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলামকে। তাঁকে সঙ্গে দেন পেসার আলাউদ্দিন। নতুন বলে তিনি ফেরান মহানগরের অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈমকে।
আলাউদ্দিন এরপর আউট করেছেন মোহাম্মদ তাজিবুল ও রাকিবুল হাসানকে। এই দুই পেসারই ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক আলাউদ্দিন। তাঁর উইকেটসংখ্যা এখন ১৯।
ছোট লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে রংপুরও খুব একটা স্বস্তিতে ছিল এমনটা বলা চলে না। ১৮ রানেই একপর্যায়ে তারা হারায় ৩ উইকেট।
সেখান থেকে অবশ্য পথ হারায়নি তারা। আরিফুল হক এবং মোহাম্মদ এনামুলের দুইটি ১৪ রানের ইনিংসে সহজেই ৬২ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যায় রংপুর। নিশ্চিত করে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরের শিরোপা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।