গত ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ৬ শিক্ষার্থীকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
এরপর গণমাধ্যমকে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগস্টে ছয়জন শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় আশুলিয়ার তৎকালীন সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এই মামলায় নাম গোপন রেখে আরও চারজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা গেলে বিচার কাজ আরও সহজ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ৬ জনের মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন নিহত এক শিক্ষার্থীর ভাই।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার পর ভ্যানে থাকা ৬ জনের মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিও থেকেই ২ জনকে শনাক্ত করতে পারে তাদের পরিবার।
ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যানগাড়িতে পড়ে আছে কয়েকজনের নিথর দেহ। পাশ থেকে আরও একটি মরদেহ পুলিশ সদস্যরা ভ্যানে তুলছিলেন। মরদেহগুলো ঢাকার জন্য ময়লা চাদর ও রাস্তার পড়ে থাকা ব্যানার ব্যবহার করেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। পরে মরদেহগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।