আবু আব্দুল্লাহ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি) : আজ ১১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক খানাদার বাহিনীকে মুক্তি বাহিনী ও সেনা সদস্যরা যৌথভাবে অস্ত্রের মুখে তাড়িয়ে দিয়ে আশুগঞ্জকে মুক্ত করে। আশুগঞ্জকে মুক্ত করার যুদ্ধে নেতৃত্ব সু সংগঠিত করতে যুগ দিয়েছিলেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ নাসিম, ক্যাপ্টেন মতিন, লেফটেন কর্নেল শফিউল্লাহ, লেফটেন মোহাম্মদ মোর্শেদ, মেজর নাসির সহ আরো অনেকে আশুগঞ্জ কে মুক্ত করতে যে পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধে শহীদ হয়ে ছিলেন সুবেদার সিরাজুল ইসলাম, ল্যন্স নােয়ক আব্দুল হাই,সিপাহী কপিল উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া প্রমুখ।১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল পাক বাহিনী নৌবহর নিয়ে মেঘনা নদী দিয়ে আশুগঞ্জে আসে।আশুগঞ্জ রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে খাদ্য গোডাউন সাইলোতে শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করে এই ঘাঁটি থেকে বি-বাড়িয়া আশুগঞ্জ ও ভৈরবসহ আশ পাশের এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে নারী-পুরুষ ধরে এনে বন্দী করে অমানবিক অত্যাচার চালিয়ে হত্যা করা হতো।
আশুগঞ্জ সাইলো গোডাউন ছিল এক নিদারুণ বধ্যভূমি। ১০ই ডিসেম্বর থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয় এবং ঐদিন বিকেল থেকে সেনারা পালিয়ে যেতে শুরু করে পাক বাহিনী আশুগঞ্জ থেকে পালিয়ে ভৈরব যাওয়ার পথে মেঘনা নদীর উপর রেল সেতুটি একাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেই। এতে সেতুর দুইটি স্প্যান ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়।১১ ডিসেম্বর বিকেলে আশুগঞ্জ সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত হয়। এই দিবসটি পালন উপলক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।