সকল মেনু

পর্তুগালকে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া, শেষ মুহূর্তে স্পেনের জয়

উয়েফা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দলগুলো মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। তবে ‌‘এ‘ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ আটে উঠতে এক পয়েন্টের প্রয়োজন ছিল ক্রোয়েশিয়ার। যদিও প্রতিপক্ষ ছিল আগেই টিকিট নিশ্চিত করা পর্তুগাল। তাই কাজটা বেশ কঠিন ছিল ক্রোয়েশিয়ার জন্য।

তবে সেই কঠিন কাজ করেই নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পা দিয়েছে ক্রোয়েটরা। এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে নাটকীয় জয় পেয়েছে স্পেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঘরের মাঠে খেলতে নেমে ম্যাচের প্রথমার্ধেই পিছিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ৩৩তম মিনিটে ফেলিক্সের দারুণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। ভিতিনিয়ার থ্রু বল প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, দ্বিতীয় ছোঁয়ায় বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন চেলসি ফরোয়ার্ড।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ৬৫তম মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। সতীর্থের ক্রস বাইলাইনের কাছে পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে শটে সমতা টানেন ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার ভার্দিওল। শেষ দিকে অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো পর্তুগাল। তবে নুনো মেন্দেসের শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি।

ছয় ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপের রানার্সআপ হলো ক্রোয়েশিয়া। চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা পর্তুগাল।

এদিন টেনেরিফে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন ও সুইজারল্যান্ড। স্পেনের কাছে দুইবার পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফেরে সুইসরা। তবে শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয় জয় পায় স্প্যানিশরা।

ম্যাচের ৩২ মিনিটে পিনো স্পেনকে এগিয়ে দেন। পেদ্রির পেনাল্টি সেভ করেন সুইস গোলরক্ষক এমভোগো। তবে সেই বল ক্লিয়ার করতে পারেনি সফরকারীর ডিফেন্ডাররা। সেই বল পেয়ে জালে জড়ান পিনো। ৬৩তম মিনিটে জোয়েল মন্টিরোর গোলে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড।

তবে তার পাঁচ মিনিট পরই আবারও লিড পেয়ে যায় স্পেন। এবারের গোল স্কোরার ব্রায়ান গিল। ৮৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সুইজারল্যান্ডকে আবারও সমতায় ফেরান জেকিরি। প্রতিপক্ষের সিয়েরোকে স্পেনের ফাবিয়ান রুইস বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

তবে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে সফল স্পট-কিকে স্পেনের জয়সূচক গোল করেন ৬৯তম মিনিটে বদলি নামা জারাগোসা। তিনি নিজেই আদায় করে নিয়েছিলেন পেনাল্টি।  গ্রুপ সেরা হয়ে স্পেনের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top