সকল মেনু

নিখোঁজ হওয়া মুনতাহারের লাশ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল পুলিশ

সিলেটের কানাইঘাটে বীরদল গ্রামের নিখোঁজ শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬)এর গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তার লাশ পাওয়া গেছে। অদ্য রোববার ভোর  ৩ টার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহের পাওয়া যায়। মুনতাহা বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফোদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।ভোররাতে প্রতিবেশী আলিফজান বিবি মুনতাহার লাশ ডোবা থেকে পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে প্রতিবেশি মারফতে আটক করা হয় তাকে। এ ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আগুন দিয়েছে ঘাতক পরিবারের বাসায়। মুনতাহা চাচা কয়সর আহমেদ জানান, মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া পুর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ করে হত্যা করে। পরে, বাড়ির পাশে ডোবায় কাঁদার নিচে পুঁতে রাখে। গতরাত আনুমানিক ৩ টার দিকে মারজিয়ার মা আলিফজান বিবি সেই লাশ সরিয়ে নিতে গেলে জনতার হাতে আটক হয়, জানা যায় এক প্রতিবেশি মুরব্বি তাঁদের রাত ০৩ টায় কদম গাছের পাশে দেখে সন্দেহজনক কিছুক্ষণ আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকেন হঠাৎ ছায়ায় শিশু কোলে দেখে টর্চ জ্বালিয়ে মুনতাহার লাশ দেখে তিনি চিৎকার করলে খুনিরা পালিয়ে যেতে চাইলে জনতার হাতে আটক হোন তারা। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো রফিকুল ইসলাম জানান, মারজিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলেরাখা হয়। মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে মারজিয়া, তার মা আলিফজান বিবিকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top