অতিবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের দাম বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি’ হাতে নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা মহানগরীর ২০টি পয়েন্টে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীতে আরো ১০টি পয়েন্টে কৃষিপণ্য বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমানে খাদ্য ভবন, রামপুরা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, নতুন বাজার, উত্তর মুগদা, বাসাবো, বছিলা, রূপনগর, মিরপুর, কালসি, কামরাঙ্গীরচর, গাবতলী, হাজারীবাগ, রাজারবাগ, মালিবাগ, কাঁঠালবাগান, রায়ের বাজার, পলাশী মোড়, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তালতলা, মানিক মিয়া এভিনিউ ও বিএডিসিতে চারটিসহ মোট ৩০টি পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাঁচটি পয়েন্টে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করা হয়। সরকারি এ কর্মসূচি নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলায় চট্টগ্রাম মহানগরীতে আরো পাঁচটি পয়েন্টে কৃষিপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে চকবাজার, দেওয়ানহাট, ষোলশহর, ফিরিঙ্গিবাজার, ফিরোজশাহ্, সিটি গেট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট ও ফ্রি পোর্টসহ মোট ১০টি পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রির কর্মসূচি চলছে।
খুলনা মহানগরীতে পাঁচটি পয়েন্টে চালু হয়েছে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি। মহানগরীর শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, খালিশপুর ও দৌলতপুরে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।