ওদের কে রোজই দেখি।
পিচ্চি, বিচ্ছু কিংবা টোকাই মুখে আসে যা,
সেই নামেই তাদেরকে ডাকি।
মাথার উপর ছাদ নেই,
যেখানে রাত, শুয়ে পড়ে সেখানেই।
ডাস্টবিনের খাবার খাবে,
সেখানে ও কুকুর এসে ভাগ বসাবে।
এভাবেই প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তারা সংগ্রাম করে।
জীবন ও জীবিকার তাগিদে।
জীবন এলোমেলো স্বপ্নহীন কোন অপরাধে।
কোথায় মমতা কোথায় পাবে উদারতা,
একটু খানি সহানুভূতি, বুঝবে কে তাদের ব্যথা।
পান থেকে চুন খসলেই, শুরু হয় নির্মম বর্বরতা।
নিষ্ঠুর পাষাণ মানুষগুলো তখন হিংস্র পশুকে ও হার মানায়।
বিপন্ন মানবতা তখন কেবলই অসহায়।
পুতুল খেলার বয়স পার হয়নি যার,
পথে প্রান্তরে ঘুরে সে খুঁজে ফেরে আহার।
অলিতে-গলিতে যেখানে গাড়িগুলো থামে।
শরীর ভিজে রোদ বৃষ্টি আর ঘামে।
কেউ ফুল আর মালা বেঁচে বলে,
স্যার আপনারা ফুলের ঘ্রাণ নিলে,
আমরা ভাতের ঘ্রাণ পাবো তা হলে।
তবুও কি বাবু সাহেবদের মন গলে?
কারো কি মন ভেজে মানবতার চোখের জলে?
বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবার কথা যার,
যখন সময় মায়ের কোলে ঘুমপাড়ানি গান শোনার,
কিংবা বাবা মিটিয়ে দেবে তার সকল আবদার।
তখনই স্বপ্ন ভেঙে হোঁচট খায় সে বার বার।
তাদের মনে ও কি স্বপ্ন থাকে!
হৃদয় নদীর বাঁকে বাঁকে।
মনের ক্যানভাসে ওরাও কি স্বপ্নের ছবি আঁকে?
স্কুল ছুটির পর একদল ছেলেমেয়েদের ঝাঁকে।
ওরা ও কি বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে?
নাকি ওরা নিতান্তই ছারপোকা।
নিয়তি যাদের দিল কেবলই ধোঁকা।
প্রশ্ন থেকে যায়, মনের গভীরে।
(((সমাপ্ত)))
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।