সকল মেনু

টিপু মুনশি কারাগারে, ফের রিমান্ডে আবদুস সোবহান গোলাপ

অনলাইন ডেস্ক । সময়কন্ঠ.কম
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় রাজধানীর বাড্ডায় ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদার হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া রাজধানীর আদাবর থানার পোশাক কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন সকালে রিমান্ড শেষে টিপু মুনশিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. রেজাউল আলম। তার আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৮ আগস্ট রাতে রাজধানীর গুলশানে অভিযান চালিয়ে টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৯ আগস্ট তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাত দিনের রিমান্ড শেষে আবদুস সোবহান গোলাপকে আদালতে হাজির করে পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে। গোলাপের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ফের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এক মামলায় বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় গত ১৯ জুলাই বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণি রাস্তার ওপর গুলিতে নিহত হন মো. সুমন সিকদার। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।

অপর মামলায় বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা বেলা ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালান। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top